Sunday, 5 June 2016

একই কায়দায় আরও দুই খুন

চট্টগ্রামে এসপির স্ত্রীকে হত্যা

চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে লাশ। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা। গতকাল সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় রাস্তায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খানমকে। চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকা থেকে গতকাল সকাল আটটায় তোলা ছবি l সৌরভ দাশ
উগ্রপন্থীদের একের পর এক হত্যাযজ্ঞের তালিকায় এবার যুক্ত হলেন জঙ্গি দমন অভিযানে সাহসিকতার জন্য পদকপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রামের ব্যস্ততম এলাকা জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতের পর গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে (মিতু)।পুলিশের অনেক কর্মকর্তাই মনে করছেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকার কারণে তাঁর স্ত্রী নিশানায় পরিণত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘অব্যাহতভাবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, জঙ্গিদের দমন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের পুলিশ ফোর্স যেভাবে বীরত্বের সঙ্গে কাজ করছে, তাদের বিভ্রান্ত করার জন্য এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের ও আর নিজাম রোডে অবস্থিত বাবুল আক্তারের বাসায় যান। সেখানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার সঙ্গে গত দুই বছরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার মিল পাওয়া যায়। চলতি বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী, টাঙ্গাইলে দরজি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সন্তগৌরীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায় এবং গত বছর আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যা, ঢাকা ও রংপুরে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গেছে, হামলাকারী ছিল তিনজন। তারা মোটরসাইকেলে আসে এবং অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ছুরি, চাপাতি, পিস্তল। গতকাল বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যায়ও মোটরসাইকেলে আসা তিনজন জড়িত ছিল এবং তারা ছুরি ও পিস্তল ব্যবহার করেছে। জঙ্গিগোষ্ঠী নতুন মাত্রায় সক্রিয় হওয়ার পর গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ৪৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হন ৪৭ জন। এসব ঘটনার অনেকগুলোতেই দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ইসলামিক স্টেট) ও আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের কথিত বাংলাদেশ শাখা আনসার আল ইসলাম। যদিও বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, দেশে আইএস বা আল-কায়েদার কোনো সাংগঠনিক অবস্থান নেই। দেশীয় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (বর্তমান নাম আনসার আল ইসলাম) সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে অনেক ঘটনায়। দেড় বছর ধরে জঙ্গিদের হত্যার তালিকায় ছিল মূলত ধর্মীয় ও গোষ্ঠীগত সংখ্যালঘু, ভিন্নমতাবলম্বী লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, শিক্ষক, বিদেশি নাগরিক, সমকামীদের অধিকারকর্মী। এই প্রথম কোনো নারী ও পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী নিশানায় পরিণত হলেন। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে রাজধানীর দারুস সালামে পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), নভেম্বরে আশুলিয়ায় একজন পুলিশ কনস্টেবলকে খুন করে জঙ্গিরা। এর মধ্যে আশুলিয়ার খুনকে চট্টগ্রামে জঙ্গিদের গ্রেপ্তার অভিযানে এক জেএমবি নেতার হত্যার প্রতিশোধ বলে ধারণা করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে চট্টগ্রামের খোয়াজনগরে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেন বাবুল আক্তার। এঁদের মধ্যে জাবেদ নামের একজন ছিলেন, যাঁকে জেএমবির চট্টগ্রামের সামরিক প্রধান বলে জানিয়েছিল পুলিশ। যদিও জাবেদ গ্রেপ্তারের পর নিজেকে আইএসের সদস্য বলে দাবি করেছিলেন। পরদিন জাবেদকে নিয়ে অভিযানে গেলে জঙ্গিদের তৈরি গ্রেনেড বিস্ফোরণে তিনি মারা যান। এরপর গত ২৭ ডিসেম্বর হাটহাজারীতে জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রাইসুল ইসলাম খান ওরফে ফারদিনের একটি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল অস্ত্র, গুলি এবং সেনাবাহিনীর ১২টি পোশাক ও এক জোড়া র্যাং ক ব্যাজ উদ্ধার করে। একই দিন ফারদিনের সহযোগী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব অভিযানের কারণে বাবুল আক্তার জঙ্গিদের নিশানায় পরিণত হতে পারেন বলে তিনি আশঙ্কা করছিলেন। তাঁর অধীনে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ছিলেন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা শাখার সদ্য বিদায়ী উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ চাকমা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘খোয়াজনগর থেকে হাটহাজারী পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের ধরার পর স্যার (বাবুল আক্তার) পরিবার নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন থাকতেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, তাঁকে মারতে না পারলেও জঙ্গিরা তাঁর পরিবারকে শেষ করে দিতে পারে।’ বাবুল আক্তার সম্প্রতি পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দেন। এর আগ পর্যন্ত গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর-দক্ষিণ জোনের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে পৌঁছান। স্ত্রীর জানাজার পর বাবুল আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনাদের তো বলেছিলাম, ওরা আমার ক্ষতি করবে। ওরা আমার ক্ষতি করেছে।’ চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘কে বা কারা কী জন্য এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তার তদন্ত করা হচ্ছে। বাবুল আক্তার জঙ্গিদের গ্রেপ্তার ও অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। এ কারণে জঙ্গিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কি না, তা উড়িয়ে দিচ্ছি না। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ কমিশনার ও বর্তমানে র্যা বের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল জলিল মণ্ডল গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবুল পুলিশের চৌকস কর্মকর্তা। আমরা বাবুলসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিয়ে ভাবতাম। দাপ্তরিক সভাগুলোতে তাঁদের সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দিতাম।’ তিনি বলেন, ‘বাবুল জঙ্গিদের টার্গেট হতে পারেন, এমন আশঙ্কা ছিল। কিন্তু তাঁর স্ত্রীকে খুন করা হবে, তা আমরা কল্পনায়ও আনতে পারিনি।’চট্টগ্রামের ও আর নিজাম আবাসিক এলাকার ইকুইটি সেনট্রিয়াম নামের একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন বাবুল আক্তার। তিনি ঢাকায় যাওয়ার পর বাসায় ছিলেন তাঁর স্ত্রী, প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে, প্লে গ্রুপে পড়ুয়া মেয়ে ও গৃহকর্মী। যেভাবে হত্যা: সকাল সাতটা। পাঁচলাইশ থানার ব্যস্ততম জিইসি মোড়সংলগ্ন ওয়েল ফুড নামের মিষ্টির দোকানের সামনের রাস্তা। গোলপাহাড়ের দিক থেকে ছেলেকে স্কুলগাড়িতে তুলে দিতে জিইসি মোড়ে আসছিলেন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা। মোটরসাইকেলে করে তিন যুবক জিইসি মোড় থেকে আসে। তাদের মধ্যে এক যুবক তাঁকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে, আরেক যুবক গুলি করে মটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ প্রথম আলোকে এটা জানান। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১০০ গজ দূরে বাবুল আক্তারের বাসা। হত্যার ধরন দেখে মনে হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা আগে থেকেই ঘটনাস্থল রেকি করেছিল। ভিডিও ফুটেজ থেকে পাওয়া তিন ঘাতকের চেহারা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তারপরও তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পরিতোষ ঘোষ বলেন, বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা জিইসি মোড়ে পৌঁছার আগেই ওয়েল ফুডের সামনে মোটরসাইকেলে তিনজন আসে। চালকের মাথায় হেলমেট ছিল। পেছনে বসা দুজনের মধ্যে মাঝখানে বসা যুবকের হাতে ছুরি ছিল। পেছনে বসা তৃতীয়জনের হাতে ছিল পিস্তল। তারা প্রথমে মোটরসাইকেল দিয়ে মাহমুদা খানমকে ধাক্কা দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেলের মাঝে বসা যুবক মাহমুদাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এরপর তৃতীয়জন পিস্তল দিয়ে গুলি করে। প্রথম গুলিটি মিস হয়, দ্বিতীয় গুলি মাহমুদার কপালে লাগে। সবকিছু করতে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড লাগে। গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় পড়ে আছে মাহমুদার মরদেহ। পরনে কালো বোরকা ও মাথায় হিজাব ছিল। লাশটিকে ঘিরে পুলিশ ও লোকজন। গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের পর বেলা সাড়ে তিনটায় দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে মাহমুদার জানাজা হয়। এরপর মরদেহ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহের পর সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক মিতশ্রী বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, নিহত মাহমুদার কপালের বাঁ পাশে একটি গুলির চিহ্ন এবং বুক, বাঁ হাতের বাহু ও কনুই এবং পিঠে আটটি ছুরির ঘা ছিল। ঘটনাস্থল থেকে অব্যবহৃত তিনটি বুলেট উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের পিস্তলের গুলি। ঘটনার পর বাবুল আক্তারের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, লোকজন তাঁর দুই শিশুসন্তানকে সান্ত্বনা দিচ্ছে। এ সময় পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা শাম্মী আকতার বলেন, ‘ভাবি (বাবুল আক্তারের স্ত্রী) প্রায়ই নিরাপত্তাহীনতার কথা বলতেন। সবাই বাসা চিনে ফেলায় বাসা পরিবর্তনের চিন্তা করছিলেন বলে ভাবি জানিয়েছিলেন। বিপদ-আপদ থেকে রক্ষার জন্য গত শনিবার বাসায় মিলাদ পড়িয়েছিলেন তাঁরা।’ বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ। তাঁরা মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। মাহমুদা খানমের মরদেহ গতকালই ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে। ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাবুল আক্তারের সঙ্গে মাহমুদার বিয়ে হয়।

খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ: বাবুল আক্তারের স্ত্রীর খুনিদের যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি গত রাতে পুলিশ কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) আনোয়ার হোসেন। সভায় বলা হয়, এই হত্যা মামলার তদন্তে নগর পুলিশের পাশাপাশি র্যা ব, পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) ও সিআইডি সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। এর আগে ঢাকা থেকে এসে গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে পুলিশের ওপর অনেক হামলা হয়েছে। এই প্রথম পুলিশের কোনো সহধর্মিণীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল রাত ১১টায় পাঁচলাইশ থানায় মামলা হয়েছে। পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ত্রিরতন বড়ুয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনকে আসামি করে এ মামলা করেন। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

No comments:

Post a Comment